Pink star help line

আইইউডি এবং ইমপ্ল্যান্ট

আইইউডি এবং ইমপ্ল্যান্ট সম্পর্কে জানুন

  • রিলাক্স আইইউডি হচ্ছে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানীর ব্রান্ডকৃত দীর্ঘ মেয়াদি পদ্ধতি। 
  • রিলাক্স আইইউডি ১০ বছরের জন্য জন্মবিরতি করে। 
  • রিলাক্স হচ্ছে “T” আকৃতির প্লাষ্টিকের একটি ডিভাইস যেটি মহিলাদের জরায়ুর ভিতরে স্থাপন করা হয়। এটা একটি হরমোন বিহীন জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি।  

  • সাধারনত ১টি সন্তানের মা আইইউডি পরতে পারবেন, যদি শারিরীকভাবে কোন অনুপুযুক্ততা না থাকে। তবে যাদের ২টি সন্তান রয়েছে এবং আর কোন সন্তান চান না কিন্তু স্থায়ী পদ্ধতির প্রতি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন না, তাদের জন্য আইইউডি একটি আদর্শ পদ্ধতি এটি তাদের স্থায়ী পদ্ধতির মত সুবিধা দিবে অথচ প্রয়োজনে খুলে ফেলে সন্তান নিতে পারেন।

  • রিল্যাক্স (আইইউডি) কখনোই শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘুরে বেড়ায় না, এটি জরায়ুর মধ্যেই থাকে।

  • রিলাক্স আইইউডি এর সুবিধা হলো- এটি হরমোন বিহীন পদ্ধতি। ফলে হরমোনাল পদ্ধতির ক্ষেত্রে যে সব অসুবিধা হয় (যেমন- বমি বমি ভাব, মোটা হয়ে যাওয়া)। এই ধরনের অসুবিধাগুলো হয় না, তবে এর একটি বড় সুবিধা হলো- সর্বোচ্চ ১০ (দশ) বছর পর্যন্ত নিশ্চিন্তে থাকা যায়। এছাড়া আপনি চাইলে যে কোন সময় খুলে ফেলতে পারবেন এবং খুলে ফেলার পরপরই খুব তাড়াতাড়ি সন্তান নিতে পারবেন।
  • রিলাক্স আইইউডি এর অসুবিধা হলো- কোন কোন মহিলার ক্ষেত্রে মাসিকের পরিমান বেড়ে যেতে পারে।

  • না, আইইউডি খুলে ফেলার পর গর্ভবতী হতে কোন বাধা প্রদান করে না বরং একজন মহিলা সহজেই গর্ভবতী হতে পারেন।

না, আমাদের দেশের নীতিমালা অনুযায়ী আইইউডি গ্রহনকারীর অবশ্যই কমপক্ষে ১টি সন্তান থাকতে হবে।

হ্যা, যদি হাসপাতালে প্রসব হয় এবং যিনি আইইউডি প্রয়োগ করবেন তার এ বিষয়ে সঠিক প্রশিক্ষন থাকে, তবে স্বাভাবিক প্রসবের পরপরই এবং সিজারিয়ান অপারেশনের সময় আইইউডি প্রয়োগ করা যায়। 

  • না প্রয়োজন নাই, যদি উপযুক্ত ও সুস্থ গ্রহীতাকে সঠিকভাবে আইইউডি পরানো হয় তাহলে সংক্রমনের ঝুকি থাকে না এবং এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে না।

  • হ্যা, যদি মহিলার কমপক্ষে ১টি জীবিত সন্তান থাকে এবং শারীরিক উপযুক্ততা থাকে, তাহলে আইইউডি পরানোর জন্য সবোর্চ্চ বা সর্বনিম্ন কোন বয়স নেই।

  • হ্যা, যদি মোটামুাট নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মহিলা গর্ভবতী নন এবং তার কোন সংক্রমন নাই, তবে সেবাদানকেন্দ্রে আরেকবার আসার কোন প্রয়োজন নেই। পুনরায় আসা তার জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে। আবার আইইউডি পরতে পুনরায় আসার আগেই সে গর্ভবতী হয়ে যেতে পারে।

  • হ্যা, ডায়াবেটিস রোগ থাকলেও আইইউডি ব্যবহার করা যাবে, এসব গ্রহীতাদের যৌনবাহিত রোগ বা অন্য কোন সংক্রমনের কোন সম্ভাব্য চিহ্ন লক্ষ্য করলে সেবাদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত, বিশেষত আইইউডি পরার পর পরই যদি সংক্রমন দেখা দেয়। 

  • স্থাপনের প্রথম ২-৩ দিন তলপেটে সামান্য ব্যাথা ফোটা ফোটা রক্ত ক্ষরন হতে পারে, তবে পরবর্তী এই সমস্যা থাকবে না।

  • না, বিরতির কোন প্রয়োজন নেই। মেয়াদ উত্তীর্ন (১০ বছর) হবার পর আইইউডি খোলার পরপরই নতুন একটি আইইউডি পরানো যাবে।

  • আইইউডি গর্ভপাত করে না। আইইউডি নিষিক্তকরন প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। সুতরাং এটি পুরোপুরিভাবে জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি।

  • প্রজননতন্ত্রের উপরের অংশে সংক্রমনের ঝুকি বাড়ানোর ক্ষেত্রে আইইউডি কোন প্রভাব ফেলে না। সঠিকভাবে গ্রহীতা বাছাই না করা হলে এবং সংক্রমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা সঠিকভাবে মানা না হলে তলপেটে প্রদাহের ঝুকি হতে পারে।

হ্যাঁ, নিয়মিত ফলো-আপ: রিল্যাক্স (আইইউডি) ব্যবহারে কোন সমস্যা হচ্ছে কি-না এবং তা সঠিকভাবে কাজ করছে কি-না তা জানার জন্য ৩ বার ফলো-আপ করা হয় একে নিয়মিত ফলো-আপ বলা হয়।

  • ১ম বার: প্রয়োগের ১ মাস পর বা প্রথম মাসিকের পর অথবা ১ মাস কম/বেশী ৭ দিন
  • ২য় বার: প্রয়োগের ৬ মাস পর (কম/বেশী ১ মাস)
  • ৩য় বার: প্রয়োগের ১২ মাস পর (কম/বেশী ১ মাস)

এছাড়াও জরুরী অবস্থা দেখা দিলে, যেকোন সময় সেবা কেন্দ্রে এসে পরামর্শ এবং সেবা গ্রহন করতে হবে।

  • আই-প্ল্যান্ট (ইমপ্ল্যান্ট) হচ্ছে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানীর ব্রান্ডকৃত দীর্ঘ মেয়াদি পদ্ধতি। 
  • আই-প্ল্যান্ট ইমপ্ল্যান্ট ৫ বছরের জন্য জন্মবিরতি করে। 
  • আই-প্ল্যান্ট হরমোন সমৃদ্ধ ছোট দুটি কাঠি, যেটা মহিলাদের হাতের চামড়ার নিচে স্থাপন করা হয়। 

  • যে সকল বিবাহিত মহিলা এখনো পড়াশুনা শেষ করেন নাই, উচ্চতর শিক্ষার আগে কোন সন্তান নিতে চান না বা ৩-৫ বছর পেশাগত দায়িত্বে সক্রিয়ভাবে পালন করে কেরিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য আই-প্ল্যান্ট একটি আদর্শ পদ্ধতি।

  • বাংলাদেশে নীতিমালা অনুযায়ী কেবলমাত্র বিবাহিত মহিলাগন জীবিত সন্তান থাক বা না থাক, আই-প্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। বয়সের সাথে আই-প্ল্যান্ট ব্যবহারের কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি নব বিবাহিত মহিলাও আই-প্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। অন্য কোন কারন না থাকলে ম্যানোপজ পর্যন্ত আই-প্ল্যান্ট ব্যবহার করা যায়।

  • আই-প্ল্যান্ট এর সুবিধা হলো- আই- প্লান্ট পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে- যে সব মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, তাদের বুকের দুধের গুনগতমান ও পরিমানগত কোন পরিবর্তন হয় না। যারা নতুন বিবাহিত , ২/৩ বৎসর অথবা তারও বেশী সময় বাচ্চা নিতে চায় না তাদের জন্যও এই পদ্ধতিটি নিরাপদ পদ্ধতি।
  • আই-প্ল্যান্ট এর অসুবিধা হলো- বমি বমি ভাব, মাসিকের সময় ফোটা ফোটা রক্ত দেখা দিতে পারে। যা পরবতীর্তে আবার ঠিক হয়ে যায়। 

  • না, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আই-প্ল্যান্ট শরীরে থাকলে তা কোন ক্ষতি করে না। তবে গর্ভধারনের সম্ভাবনা আছে ও জরায়ুর বাইরে গর্ভধারন হতে পারে। তাই আই-প্ল্যান্ট খুলে নতুন সেট পরা যায় বা অন্য কোন জন্মনিরোধক ব্যবহার করা যেতে পারে। 

  • হ্যা, আই-প্ল্যান্ট ব্যবহারকারী মহিলা গর্ভবতী হলে তিনি তা খুলে ফেলার জন্য সেবা কেন্দ্রে যাবেন। 

  • না, আই-প্ল্যান্ট প্রয়োগের পূর্বে তলপেট পরীক্ষা অত্যাবশ্যক নয়। তবে, মহিলার প্রজননতন্ত্রে কোন অসুবিধা আছে কি-না তা জানার জন্য তলপেট পরিক্ষা করাই ভাল। 

  • হ্যা, আমাদের দেশে আই-প্ল্যান্ট খোলা নিশ্চিত করা এবং গ্রহীতার কোন শারীরিক অসুবিধা আছে কি-না দেখার জন্য তাকে ৩ বার ফলো-আপে আসতে হবে। 

  • হ্যা যেকোনো সময় খুলে ফেলতে পারবেন, এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

  • কিছুটা সম্ভাবনা থাকে। তবে খাবার ও নিয়মিত শরীর র্চচা করলে এই সমস্যাটিও থাকে না।  

  • গবেষনায় দেখা গেছে যে, ৮০ কিলোগ্রামের চেয়ে বেশি ওজনের মহিলারা কম ওজনের মহিলাদের চেয়ে গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা বেশি। তারপরও আই-প্ল্যান্ট ব্যবহার এই সব মহিলাদের জন্য খুবই কার্যকরী। 

  • আই-প্ল্যান্ট নমনীয় এবং চামড়ার নিচে আই-প্ল্যান্ট ভাঙ্গে না। অপসারনের আগ পর্যন্ত যে জায়গায় স্থাপন করা হয় ঐ জায়গায় থাকে।  

  • হ্যা, সেবা কেন্দ্র থেকে ফিরে আসার পর পরই একজন মহিলা তার দৈনন্দিন কাজ করতে পারেন, তবে খেয়াল রাখতে হবেযাতে তিনি ঐ জায়গায় হঠাৎ কোন আঘাত না পান বা না ভেজান। 

  • আই-প্ল্যান্ট খুলে ফেলার পর একজন মহিলার প্রজনন ক্ষমতা ফিরে আসতে বিলম্ব হয় না। আই-প্ল্যান্ট খুলে ফেলার পর পরই পূর্বের মত, নিয়মিত মাসিক এ ফিরে আসেন। তবে, কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে। 

  • শুধুমাত্র প্রজেস্টেরন সমৃদ্ধ জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি যেমন-আই-প্ল্যান্ট ব্যবহার শুরু করতে হলে, সন্তান জন্মের কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সেবাদানকারীর পরামর্শ অনুযায়ী ৬ সপ্তাহের পূর্বে প্রজেস্টেরন সমৃদ্ধ পদ্ধতি (আই-প্ল্যান্ট) ব্যবহার করতে পারেন।  

নিয়মিত ফলো- আপের জন্য ৩ বার সেবা কেন্দ্রে আসতে হবে। 

  • ১ম ফলো-আপ - স্থাপনের ১ মাস পর (কম/বেশী ৭ দিন) 
  • ২য় ফলো-আপ - স্থাপনের ৬ মাস পর (কম/বেশী ১ মাস) 
  • ৩য় ফলো-আপ - স্থাপনের ১ বছর পর (কম/বেশী ১ মাস) 

এছাড়াও জরুরী অবস্থা দেখা দিলে, যেকোন সময় সেবা কেন্দ্রে এসে পরামর্শ এবং সেবা গ্রহন করতে হবে।